বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আদু ভাই হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রথম বর্ষ থেকেই খুব ভালো করে পড়াশোনা করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। শনিবার (১৬ আগষ্ট) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির কর্তৃক আয়োজিত নবীন বরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের সমসাময়িক সময়ে যে সব দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তারা উন্নয়নের দিক থেকে আমাদের চেয়ে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। সিঙ্গাপুর একসময় জেলে পাড়া ছিল, আর এখন তাদের অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা, রাষ্ট্রব্যবস্থা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত। আমাদের পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ দুর্নীতি। আমাদের পদ্মা সেতু নির্মাণে যে টাকার প্রয়োজন, তার চেয়ে দ্বিগুণ টাকা দুর্নীতি করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। বিগত সরকার দিল্লির পারপাস সার্ভ করেছে। এদেশের তরুণ সমাজ কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন পায়নি। এ দেশের রাজনীতিবিদরা তরুণ সমাজের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারেনি।
শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করে নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসে শিক্ষার্থী না থাকলেও লাইব্রেরিতে বিসিএস পড়ার জন্য শিক্ষার্থীর অভাব হয় না। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বিসিএস ক্যাডার বানানোর জায়গা না, গবেষণা ও জ্ঞান তৈরির জায়গা। রাষ্ট্র সেরকম শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের দিতে পারেনি। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বেকারত্ব দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা মনস্তাত্ত্বিক দাসে পরিণত হয়েছি। জ্ঞান ও গবেষণায় বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে।
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ফার্স্ট ইয়ারকে রেস্ট ইয়ার মনে করা যাবে না। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখা যায় অনেক স্টুডেন্ট পড়াশোনা করে না। যে কারণে দশ বছরেও তাদের অনার্স শেষ হয় না। প্ল্যান অনুযায়ী নিয়মিত পড়াশোনা করে ভালো রেজাল্ট করতে হবে। জ্ঞান অর্জন করে দক্ষ হয়ে নিজেকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী, ইরামনাস ন্যাশনাল ফোকাল পয়েন্টস ইউরোপীয় কমিশনের আঞ্চলিক পরিচালক আশিকুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি।
অনুষ্ঠানে প্রায় ২ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীকে বরণ করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ।